পাবনায় গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ এবং এরপর পাবনা সদর থানায় অভিযুক্ত এক ধর্ষকের সাথে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বিয়ের ঘটনায় পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত এসআই একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।

পুলিশ সুপার বলেন, থানা কম্পাউন্ডে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় ওসি ওবায়দুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেইসাথে কাজী ডেকে থানায় বিয়ে দেয়ার সংশ্লিষ্টতা থাকায় এসআই একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরো দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আলী হোসেন ও সঞ্জু হোসেন নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে ৫ জন আসামির মধ্যে মোট চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে রাসেল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম ঘন্টু নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

আর গ্রেফতারকৃত চার আসামির মধ্যে রাসেল ও আলী হোসেন ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে মোবাইলে প্রেমের সর্ম্পক ছিল একই গ্রামের রাসেল হোসেন নামের এক যুবকের। গত ২৯ আগস্ট রাতে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রাসেল ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

কিন্তু মামলা নথিভূক্ত না করে মীমাংসা করতে অভিযুক্ত যুবক রাসেলের সাথে গৃহবধূকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় জেলা পুলিশ।

পরে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই গৃহবধূকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা দায়ের ও অভিযুক্ত যুবক রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গতকাল বুধবার সকালে আরেক আসামি দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।

আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওযার পর ওসিকে প্রত্যাহার ও এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।