জ্যোতিষীদের মতে শুক্র গ্রহের সঙ্গে হীরার একটা নিবিড় যোগ রয়েছে। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, শুক্র গ্রহের অবস্থান যদি জোরালো হয়ে ওঠে, তা হলে মনের মতো জীবন সঙ্গীর খোঁজ যেমন মেলে। বৈবাহিক জীবনও সুখে ভরে থাকে।

হীরা মূল্যবান হলেও, যদি এই রত্ন ধারণের ফলে জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র গ্রহের স্থান শক্তিশালী হতে শুরু করে, তা হলে নানা বিষয়ে উপকার মিলতে পারে।

এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে, যদি হীরার আংটি ধারণ করা হয়, তা হলে প্রচুর ধন-সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠা সম্ভব হয়। তার সঙ্গে গাড়ি, বাড়ি, কাজকর্ম, দাম্পত্য জীবন প্রভৃতি নানা দিকে উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়। তবে একটা জরুরী কথা মনে রাখতে হবে যে, এ সব কিছুই হওয়া সম্ভব হবে যখন হিরের আংটি মধ্যমায় ধারণ করা হবে।

হীরার আংটি মধ্যমায় পরার আরও বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে:

• কর্ম জীবনে উন্নতি– কর্ম জীবনে চরম উন্নতির শিখরে পৌঁছতে হলে অবশ্যই হিরের আংটি মধ্যমায় ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে যাঁরা ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে হিরের আংটি ধারণ অতি আবশ্যক।

• রোগ ব্যাধি কমানো– হীরা আংটি মধ্যমায় ধারণের ফলে, তার প্রভাবে শরীরের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন আসে, যার ফলে ছোট থেকে বড় বহু রোগ দূরে সরে যায়।

• খারাপ কাজের হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়ে– একটা বিষয়ে জানলে হয়ত অনেকেই অবাক হবেন যে, হীরার আংটি ধারণের ফলে শুধু শুক্র গ্রহ নয়, তার প্রভাবে অন্যান্য গ্রহদের অবস্থানেও এমন কিছু পরিবর্তন আসে, যার ফলে মনে খারাপ চিন্তা বা দুশ্চিন্তা অনেক কমে যায়। যার ফলে খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে।

• আত্মবিশ্বাস অটল থাকে– হীরার আংটি মধ্যমায় ধারণের ফলে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং জীবনে চলার পথে এগিয়ে যেতে সমস্যা হয় না।