মিয়ানমার সামিরক বাহিনীর কৌশলগত ফ্রন্টলাইন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ জন সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে। মরাউক-ইউ টাউনশিপের কাছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ) এই হামলা চালানোর দাবি করেছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র ইউ খিন থুখা ইরাবতীকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যাতেও দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছিল।

উ খিন থুকা বলেন, মরাউক-ইউ থেকে গাড়িতে করে ৩০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত লিন মওয়ের একটি সামরিক স্টেশনে হামলা চালায় আরাকান আর্মি। তারা কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘাঁটিটি দখলও করে রেখেছিল। পরে তারা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মর্টার, আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও কিছু যুদ্ধবন্দী নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় ফিরে যায়।
উ খিন বলেন, তারা এখনো আরাকান আর্মির সদরদফতর থেকে বিস্তারিত তথ্য পাননি। ফলে তারা বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারছেন না।

তিনি বলেন, তিনি নিহত মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঠিক সংখ্যাও দিতে পারেননি। তবে জানিয়েছেন যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী তিনটি ট্রাকে করে নিহত সৈন্যদের লাশ নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, অভিযানে আরাকান আর্মির দুই সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৫ জন।
তিনি বলেন, আমরা কিয়াকতুও ও মরাউক-ইউ টাউনশিপে সারা রাত অভিযান চালিয়েছি। তাদের ঘাঁটি দখল করেছি। আমরা খবর পেয়েছি যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় তাদের শক্তি বাড়িয়েছে।
উ খিন বলেন, মরাউক-ইউয়ের ইয়াঙ্গুন-সিত্তুবি মহাসড়কের পাশেও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে করে মহাসড়কটি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল।

তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার রাতে আরাকান আর্মির যোদ্ধরা কিয়াকতাও ঘাঁটিতে নোঙর করা মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে।
আরাকান আর্মির ঘনিষ্ঠ সূত্র ইরাবতীকে জানিয়েছে, নিল মওয়ে টাঙ সামরিক ঘাঁটি থেকে ডজনখাকে সৈন্যকে বন্দী করা হয়েছে। এছাড়া একজন লে. কর্নেল বা মেজরও যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
ওয়েস্টার্ন কমান্ডের তাতমাদাও কর্নেল উউন জাও ওও বুধবার মরাউক-ইউক, কিয়াকতাও ও বুথিদঙ টাউনশিপে লড়াই হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাদের বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেননি।
তিনি স্বীকার করেন যে লিন মওয়ে তাঙে তার সৈন্যদের ওপর ভোর ৪টায় আরাকান আর্মির বিদ্রোহীরা আক্রমণ চালিয়েছিল। এতে অল্প কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছে। তিনি বলেন, কিয়াকতাও আঞ্চলিক কমান্ডে ১০৭ এমএম রকেট হামলা করা হলেও সেগুলো কেবল গাছে আঘাত হেনেচে। ফলে কেউ তেমনভাবে আহত হয়নি।

তিনি গ্রামগুলোর কাছে তার সৈন্যদের ওপর গুপ্তহামলা না চালানোর জন্য হুঁশিয়ার করে দেন আরাকান আর্মিকে। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী তাদের প্রতি পাল্টা হামলা চালাবে। এতে করে গ্রামবাসীরা অহেতুক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই তীব্র হয়েছে।
দি ইরাবতী/সাউথ এশিয়ান মনিটর