জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ২৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1796 বার
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে স্কুলছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী ও তার পরিবার।
গত রোববার ভোরে শ্যামনগর সদরের গোপালপুর এলাকা থেকে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। তবে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় গোপালপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় ওই স্কুলছাত্রী। সে উপজেলা কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শৈলখালি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
হাফিজুল ইসলাম গোপালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ সরদারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী জানায়, ফেসবুকে হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর বিভিন্ন সময় আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় হাফিজুল। একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় হাফিজুল। এরপর শ্যামনগর সদরের গোপালপুর এলাকায় হাফিজুলের পরিচিত এক প্রবাসীর বাড়িতে আমাকে রাখে। সেখানে টানা আটদিন আমাকে ধর্ষণ করে হাফিজুল। এই কাজে সহযোগিতা করেছেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী।
শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আনিসুর রহমান বলেন, ওই স্কুলছাত্রী ১৮ আগস্ট নিখোঁজ হওয়ার পর তার দাদা থানায় জিডি করেন। এরপর ছাত্রীকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। রোববার ভোরে গোপালপুর এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও এক গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম পুলিশের অভিযান টের পেয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় হাফিজুল ইসলাম ও গৃহবধূর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
Leave a Reply