নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক নৃত্য শিল্পীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে এ ঘটনার পর নির্যাতিত ওই নারী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতাকৃতরা হলেন- সোনারগাঁয়ের সুচারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল্লাহর ছেলে মাহমুদুল হাসান হিমেল, কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে শফিকুর ইসলাম রনি ও ইলিয়াসদী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে সজিব। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে তাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছে।

গণধর্ষণের শিকার ওই নারী পেশায় একজন নৃত্যশিল্পী। তার নিজের একটি নাচের দল রয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোমবার রাতে একটি কোম্পানির স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নিতে ওই শিল্পী স্বামীসহ তার নাচের দল নিয়ে দড়িকান্দি এলাকায় যান। সেখানে মাহমুদুল হাসান হিমেল নামের এক যুবক প্রোগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা বলে নৃত্য শিল্পীর স্বামী ও অন্যান্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কনকর্ড ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত আনসার ব্যারাকে বসিয়ে রাখে। পরে হিমেলের বাড়িতে ড্রেস পরিবর্তনের কথা বলে নৃত্য শিল্পীকে কাশবনের ভেতরে নিয়ে যায়।

এ সময় কাশবনের ভেতরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শফিকুর ইসলাম রনি, সজিব, সানজিদ, সিয়াম মিলে নৃত্য শিল্পীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ওই নৃত্যশিল্পী তার স্বামীকে বিস্তারিত জানান এবং স্বামীর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাতেই সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় রাতেই তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গণধর্ষণের অপরাধ স্বীকার করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আসামিদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আরো দুই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।