বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ নিয়োগ দিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে প্রধান কোচ করা হয়েছে।

স্টিভ রোডসের সঙ্গে বিচ্ছেদের মাস দুয়েকের মধ্যেই নতুন প্রধান কোচের নাম ঘোষণা করল বিসিবি।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেন। গত ৭ অগাস্ট ঢাকায় এসে বিসিবির কাছে নিজের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছিলেন ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোচিং করানো রাসেল। দুই বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া নতুন এই কোচ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ২১ অগাস্ট।

রাসেলের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট দেশের মাঠেই। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট, জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান নাজমুল জানান, অনেকেই বাংলাদেশের কোচ হতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তাদের মধ্য থেকে নানা হিসেব নিকেশ করে দুজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেন তারা, তারমধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয় রাসেলকে, ‘শেষ পর্যন্ত আমাদের হাতে দুজন ছিল। তারমধ্য থেকে একজনকে চূড়ান্ত করেছি। আমাদের জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে রাসেল ক্রেইগ ডমিঙ্গোকে নিয়োগ দিচ্ছি। গতকালই তাকে নিশ্চিত করা হয়েছে । আজ আপনাদের সামনে ঘোষণা করলাম।’

রাসেল ছাড়াও বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হতে বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসন। আভাস ছিল রাসেল বা হেসনের কেউই হতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসানদের কোচ।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল নিয়ে কর্মপরিকল্পনা পছন্দ হওয়ায় রাসেলকে বেছে নিল বিসিবি।

এবারের বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় চুক্তির মেয়াদ থাকলেও রোডসের সঙ্গে পারষ্পারিক সমঝোতায় সম্পর্ক ছিন্ন করে বিসিবি। বিশ্বকাপের পর পর শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অন্তর্বর্তী প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু ওই সিরিজে দল ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশড হয়ে ফেরায় নতুন কোচ দ্রুত নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করে বোর্ড।

গত ৭ অগাস্ট কোচ হতে আগ্রহী দক্ষিণ আফ্রিকান রাসেল ডমিঙ্গো সরাসরি ঢাকা এসে সাক্ষাতকার দিয়ে যান। রাসেলের সাক্ষাতকারের খুশি হলেও মাইক হেসনের নাম ছিল জোরেসোরেই আলোচনায়। তিনি সরাসরি না এলেও ভিডিও কনফারেন্সে তার সঙ্গে বিসিবি কথা বলেছে বলে জানা যায়। এই দুজন ছাড়াও আরও কয়েকজনের সঙ্গেও কথা হয়েছে বোর্ডের।

বিশ্বকাপ শেষে দল দেশে ফেরার পরই গত ৮ জুলাই রোডসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিসিবি। ইংলিশ এই কোচের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের চুক্তি ছিল সামনের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।