ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নামের এক যুবক শ্বশুর এর টাকার লোভে শ্বাশুড়ীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে নূর ইসলাম ও তাঁর শ্বাশুড়ীর বিচারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নূর ইসলাম (৩০) প্রায় এক বছর আগে নিজ গ্রামের মালদ্বীপপ্রবাসী এক ব্যক্তির বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। সেখানে ওই প্রবাসীর মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই মেয়েকে বিয়ে করেন। এই বিয়ের মাত্র চার মাস পরে শ্বাশুড়ীকে (৩৪) আদালতে নিয়ে হলফনামার মাধ্যমে বিয়ে করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন তাঁদের দুজনকে আটক করে বিচারের দাবি জানান। নূর ইসলামের শ্বশুর বিদেশে থাকেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে টাকা পাঠান। ওই টাকা আত্মসাৎ করার জন্য নূর ইসলাম তাঁর শ্বা শুড়িকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মা-মেয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে নূর ইসলাম শাশুড়ি ঝর্না বেগমকে নিয়ে চন্ডিপুর গ্রামে এলে এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে নানা কথাবার্তা শুরু করে। গ্রামবাসী তাদের আটক করে স্থানীয় মেম্বার মো. কাউসারের জিম্মায় দেন এর উপযুক্ত বিচারের জন্য।

শাশুড়ি ঝর্না বেগম বলেন, আমার মেয়ে জেনির সঙ্গে গত এক বছর আগে নূর ইসলামের কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে। এর পর গত চার মাস আগে নূর ইসলাম আদালতে নিয়ে আমাকে বিয়ে করে। আমার মেয়ের ঘরে কোন সন্তান নেই। বর্তমানে আমি চার মাসের অন্ত:সত্ত্বা।

স্থানীয় মাচ্চর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. কাউসার বলেন, রোজার প্রথম তারাবির নামাজের কারণে আমি চৌকিদার মক্কাছের জিম্মায় ওদের রেখে এসেছি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম সেখান থেকে ওরা উভয়েই পালিয়েছে।