রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সোমবার সকালে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেন।

সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত এই প্রধান জামাতে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, সংসদ সদস্যগণ, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নামাজ আদায় করেন।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান ঈদের জামাত পরিচালনা করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণ এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করা হয়।

এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও প্রাণঘাতী রোগটিতে আক্রান্তদের আশু আরোগ্য কামনায় দুয়া করা হয়।

এ ছাড়া মুনাজাতে ১৫ আগস্টে নিহত বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিশেষত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্যও দুয়া করা হয়।

নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি মুসুল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধায়নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহে নারী মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভ্যর্থনা জানান।