জেলা সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ৩, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 528 বার
নোয়াখালী জেলা শহরের উকিলপাড়ায় (মাইজদি) এস এম নাজমুল হুদা নামীয় একজন চিকিৎসক হিসেবে ভুয়া ডাক্তার-নাম-পদবী ব্যবহার করে প্রতারণা করার দায়ে আট মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে এবং প্রাইম হাসপাতালে নানা অনিয়মের জন্য দুই লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: রোকনুজ্জামান খান। আদালত পরিচালনায় বিভিন্ন মামলায় প্রসিকিউট করেন , সিভিল সাজন নোয়াখালী ডাঃ মো: মোমিনুর রহমান, , ড্রাগ সুপার নোয়াখালী মাসুদ হাসান ও দেবানন্দ সিনহা, সহকারী পরিচালক , জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নোয়াখালী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২.৭.১৯) সন্ধ্যা ৭টায় নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী এলাকায় উকিল পাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে এস.এম.নাজমুল হুদা (৩৯) নিরাময় হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করে আসামীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাশ্ববর্তী আকসা গার্ডেন বাসার তিন তলায় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে চিকিৎসা চেম্বারে তল্লাশী করা হয়। এসময় তার নামীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসা প্রদানের যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। এস এম নাজমুল হুদা (৩৯) তার নামীয় ব্যবস্থাপত্রে ডাক্তার নাম-নাম-পদবী-ডিগ্রী ইত্যাদি ভূয়া হিসেবে প্রমাণিত হয় ও তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ধারায় ৮মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলার শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় প্রাইম হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনাকালে হাসপাতালের শয্যা অনুয়ায়ী যেখানে ১৫জন ডিউটি ডাক্তার থাকার আইন রয়েছে সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র তিন জন ডিউটি ডাক্তার, অপারেশন থিয়েটার অপরিচ্ছন্ন, ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, ফামের্সীর ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঠিক মাত্রা না পাওয়া, হাসপাতাল ক্যান্টিনের অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্নতা অপরাধ আমলে নেওয়া হয়। মেডিক্যাল প্রেকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২, ঔষধ আইন ১৯৪০, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ২লক্ষ ৫হাজার টাকা জরিমানা দন্ড আরোপ ও আদায় করা হয়।
Leave a Reply