জাহাজ ‘হারমনি অব দ্য সিজ’কে বলা হয় ‘ভাসমান মহানগরী’। জাহাজটি এতই বড়, যার ভেতর আধুনিকতার কোন কমতি রাখা হয়নি।

বিশ্বে এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড় ও ভারী জাহাজ এটি। ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বন্দর থেকে এর উদ্বোধন করা হয়।

হারমনি অব দ্য সিজ সমুদ্রের মধ্যে আরেক পৃথিবী। ১ হাজার ১৮৭ ফুট লম্বা ও ২৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ৬ হাজার ৭৮০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। একুশে টিভি।

২ হাজার ৫০০ শ্রমিক জাহাজটির নির্মাণে কাজ করেছেন। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড। রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নৌবহরের ২৫তম জাহাজ ‘হারমনি অব দ্য সিজ’।

জাহাজটির প্রথম বিশেষত্ব হল যাত্রী ধারণক্ষমতা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রমণ জাহাজ এটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জেট এয়ারবাস এ৩৮০-তে সিটের সংখ্যা ৫২৫টি। এর চেয়েও দশগুণ বেশি যাত্রী বহন করতে পারে ‘হারমনি অব দ্য সিজ’।

দ্রুততার দিক থেকে জাহাজটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছোটে। জাহাজে রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। এর মধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে ২ হাজার ৭৪৭টি কেবিন। যা বর্তমানে যে কোনো জাহাজের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এত বড় যে যাত্রীরা যাতে হারিয়ে না যান, সে জন্য তাদের জিপিএস অর্থাৎ গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়।

দু’তলা নিয়ে বিস্তৃত জাহাজের সিগনেচার রুম, এটি ‘রয়েল লফট স্যুট’ নামে পরিচিত। রয়েল লফট স্যুটের প্রথম তলায় রয়েছে ১ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের লিভিং স্পেস। অন্যদিকে ৮৭৪ স্কয়ার ফুটের দ্বিতীয় তলাটি শহরের যে কোনো অ্যাপার্টমেন্টের চেয়েও অনেক বড়।

জাহাজটিতে রয়েছে সুইমিং পুল, প্লেইং রুম, বার, রেস্টুরেন্ট, টি রুম, নানা রঙের অনেকগুলো ফোয়ারা, বাচ্চাদের খেলার অনেক ইভেন্ট, বিশাল বড় বাথটাব, ফুট কোর্ট ইত্যাদি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ