শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যশোরের চাঁচড়া বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ দায়িত্বশীলরা জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে ফুল দিয়েছেন।

এ ঘটনায় বুদ্ধিজীবী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বিরাট গাড়িবহর অপেক্ষমান জনতার পাশে ঢুকে পড়লে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এ সময় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা জাসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ফুল দেয়ার জন্য অপেক্ষমান ছিল।

সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তাদের পায়ে জুতা ছিল। প্রশাসন ও পুলিশের সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের পায়েও ছিল জুতা। তাদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ)-এর বৃহত্তর যশোর জেলা কমিটির প্রধান আলী হোসেন মনি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ, ডেপুটি কমান্ডার আবুল হোসেন, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী স্বপন প্রমুখ।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ ইত্তেফাককে বলেন, জুতা নিয়ে ওঠা যায় না, এটা আমার জানা ছিল না। আজই প্রথম উঠলাম। পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক বলেন, জুতা পায়ে উঠার বিধান নেই, এটা আমার জানা নেই। মুক্তিযোদ্ধারা, ডিসি সাহেব জুতা পায়ে উঠেছেন। আমি তাদের ফলো করেছি। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ বলেন, আমি প্রতিবারই খালিপায়ে উঠতাম। এবার হালকা জুতাও পড়ে গেছিলাম। কিন্তু সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী স্বপন জুতা পায়ে উঠতে বলেছেন বলে উঠেছি। আর মোহাম্মদ আলী স্বপন বলেন, ফুল দেয়ার জায়গা তো উপরে। নিচে জুতা পায়ে উঠেছি, তাতে দোষের কিছু দেখি না।