জেলা সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 484 বার
যশোরে দুই সন্তানের এক জননী পুলিশ ও সোর্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। ধর্ষণের পরীক্ষা করানোর জন্য তিনি আজ মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে এলে ঘটনা প্রকাশ পায়। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণে অভিযুক্ত ঐ পুলিশ সদস্য হলেন শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খায়রুল ও তার সোর্স কামারুল।
হাসপাতালে ঐ গৃহবধূ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, আগে আমার স্বামী চোরাচালানিদের পণ্য বহন করতো। কিন্তু এখন কৃষি কাজ করে। নয়দিন আগে খায়রুল তার স্বামীকে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাকে ফেনসিডিল দিয়ে চালান করা হয়। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে এসআই খায়রুল, সোর্স কামারুল এবং গ্রামের লতিফ ও কাদের নামে চারজন এসে আমাকে ডাকাডাকি শুরু করে। আমি দরজা খুলতে না চাইলে তারা বলেন- স্বামীর মামলার ব্যাপারে কথা আছে। তখন আমি দরজা খুলি। দারোগা খায়রুল আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিলে আমার স্বামীর মামলা হালকা করে দেবে। সে সময় আমি বলি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দিয়েছেন। এখন বলছেন টাকা দিলে হালকা হয়ে যাবে। এ নিয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর ঘরের ভিতর নিয়ে খায়রুল ও কামারুল আমাকে ধর্ষণ করে চলে যায়। তারা চলে গেলে এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানালে তারা আমাকে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ জানান, সকালে ওই নারী জরুরি বিভাগে আসেন। জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে ঐ নারী ধর্ষিত হয়েছেন। এ ধরনের পরীক্ষা আমরা পুলিশের মাধ্যমে না আসলে করতে পারি না। তখন আমি পুলিশকে জানাই। পরে কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান তাকে পুলিশ সুপারের কাছে নিয়ে গেছেন।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, অভিযোগ গুরুতর। মহিলাকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজন সিনিয়র অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে পুলিশ হোক আর যেই হোক কোনো ছাড় পাবে না। সূত্র-কালের কন্ঠ
Leave a Reply