দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ২৫ জুন বহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (কামাল)। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সোমবার সংসদে স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন পেশ করা হয়।

মঙ্গলবার সংসদে বহুল আলোচিত এই বিল পাস হয়। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ১ এর উপধারা (২) এ উল্লেখিত ‘সতরো বৎসর’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘বাইশ বৎসর’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। খবর বাসসের

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আমলে ২০০২ সালে ২ বছর মেয়াদ রেখে এই আইন প্রথম প্রণয়ন করা হয়। এরপর প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ৬ বার আইনটি কার্যকারিতার মেয়াদ ১৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল আইনটির মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছিল। এর মেয়াদ গত ৯ এপ্রিল শেষ হয়ে যায়। এ জন্য আইনটির ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এ আইনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিধান করা হয়েছে। বিলে উল্লেখিত মেয়াদ চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার বিধান করা হয়েছে।

জাতীয পার্টির ফখরুল ইমাম, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, রুমিন ফারহানা ও গণফোরামের মোকাব্বির খান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।