ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে আদালত এটি খারিজ করে দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন ।

শুনানিকালে আদালত বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাতকে যে অবান্তর প্রশ্ন করেছিলেন তা বলার মতো বিষয় নয়। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখলে সে মারা যেত না। কিন্তু তা না করে ভিডিও করে মজা নিয়েছেন। তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি।

হাইকোর্ট আরো বলেন, কিছু কিছু ওসি ও ডিসি রয়েছেন যারা নিজেদের জমিদার মনে করেন।

এরপর জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর আগে গত সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করার পরের দিন ২ জুলাই জামিন শুনানির অনুমতি দিয়ে এ বিষয়ে শুনানির জন্য রবিবার দিন ঠিক করেন। রবিবার জামিনের শুনানি নট টুডে (আজ নয়) বলে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দিন ঠিক করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মামুনুর রশিদ জানান, গত সোমবার (১ জুলাই) ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন নিয়ে তার আইনজীবীরা আদালতে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির কারণে আদালত জামিন আবেদনের অনুমতি দেননি। তবে পরদিন মঙ্গলবার (২ জুলাই) জামিনের বিষয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।

এর আগে গত ১৭ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ (খারিজ) করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিনের মাথায় গত ১৬ জুন মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার মা শিরীন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় ডেকে নিয়ে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেন তিনি।

ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ১৫ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।