ঢাকা ওয়াসার কিছু কিছু এলাকার পানিতে মল ও ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়ার ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি পানি পরিশোধনে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য ও ব্যাখ্যা হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৩ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআর’বির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশে পানি পরীক্ষার ফলাফল রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জমা দেয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এসময় রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত আটটি নমুনার পানিতে দূষণের তথ্য-সংকান্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যলয়ে জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনে এইসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে এবং কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে তথ্য উঠে আসে।

গত ২১ মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আটটি নমুনাতে দূষণ পাওয়া যায়।