নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মাহমুদপুর পাকার মাথা এলাকায় ফাঁদে ফেলে ১২ ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাওলানা মো: আল আমিন নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করেছে র‌্যাব-১১। যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে আল আমিন জানান, তিনি আগে এমন ছিলেন না, শয়তানের এ কাজ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় ‘বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা’য় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। । আল আমিন বায়তুল হুদা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি ফতুল্লা এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। আটকের সময় তার মোবাইল ও অফিসের কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব-১১-এর কর্তকর্তা মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) জানান, মাদ্রাসার দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১২ জন ছাত্রী ওই শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই আল আমিনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে সিরিয়াল ধর্ষক আশরাফুল আরিফকে গ্রেফতারের ঘটনায় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদের ভিডিও ক্লিপ আমার ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেছিলাম। দুইদিন আগে বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং তার মা ফেসবুকে সেটি দেখছিলো। এ সময় হঠাৎ ওয়ালে থাকা ভিডিওটি দেখে ওই ছাত্রী তার মাকে বলেছিল যে, মা আমাদের হুজুরকে কেন গ্রেফতার করে না র‌্যাব, আমাদের হুজুরও আমাদের সঙ্গে এরকম করে। আমার ওই মাদ্রাসায় যেতে ভালো লাগে না। আমি মাদ্রাসায় আর যাবো না। পরে বিষয়টি ওই মেয়ের মা র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগটি শোনেন এবং তাকে কৌশলে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে সেই শিক্ষককে আটক করেন।
উল্লেখ্য গত ২৮ জুন ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।