অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুন ১৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 372 বার
কুড়িগ্রামের ভূরুগামারী উপজেলায় পূর্বকেদার গ্রামে তিন বছর ধরে বন্ধুর মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণকারী মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহায়তায় সাব রেজিস্টার অফিসের সামন থেকে তাকে গ্রফতার করা হয়। আটক মকবুল হোসেন বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস প্রধানের ছেলে।
ওই ছাত্রীকে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় মকবুল শশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে। তিনবছরে অসংখ্যবার তাকে যৌন নির্যাতন করেছে।
গত বুধবার সকালে একটি বাড়িতে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ধর্ষকের স্ত্রী এলাকাবাসীকে জানান।
সোমবার ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় মামলা দায়ের করার পর ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতিত মেয়েটি জানায়, বাবার বন্ধু হওয়ায় মকবুল তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। তাদের পরিবারও মকবুলের বাড়িতে যাতায়াত করত। সে যখন ব্যাপারীটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, তখন মকবুল ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম তাকে সাথে করে নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া গ্রামে মুক্তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে মকবুল ও তাকে রেখে মকবুলের স্ত্রী মুক্তা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চলে যায়। তখন মকবুল জোর করে প্রথম ধর্ষণ করেন। তারপর থেকে প্রায়ই ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতো মকবুল।
গত বুধবার সকালে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ভ্যানচালক শামছুলের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মকবুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম এসে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে মেয়েটিকে মারধোর করে। পরে লোকজন এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (ভুরুঙ্গামারী সার্কেল) শওকত আলী জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি আগেই মিডিয়াতে আসে। মামলা হওয়ার পর আমরা সোর্স লাগাই। অবশেষে সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলা চত্বরের সাবরেজিস্টার অফিসের সামন থেকে আসামি মকবুলকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply