আগামী ২৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভার প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় গণতন্ত্র, ভোটাধিকার এবং রাষ্ট্র প্রশাসন ও সংবিধান পরিবর্তন নিশ্চিত করার সংগ্রামকে জোরদার করার জন্য জেএসডির কার্যক্রম বৃদ্ধি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও শিল্পাঞ্চল শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠান, কমিটি গঠন ও পুনর্গঠন সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভার প্রস্তাবে বলা হয়, দেশের উপর থেকে আজ জনগণের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, ভোটাধিকার, আইন-শৃঙ্খলা, বিচারিক ব্যবস্থা, জানমালের নিরাপত্তা সবই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও জেল-জুলুম চলছে অবাধ গতিতে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, এ অবস্থা থেকে জাতিকে উদ্ধারের জন্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। গত নির্বাচনের আগে এ ফ্রন্টের পক্ষে শতকরা ৯০ জন মানুষের সমর্থন গড়ে উঠে। এ অবস্থা টের পেয়ে সরকার ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ডাকাতি করে। তাই বর্তমান পার্লামেন্টকে প্রত্যখ্যান করা হয়েছে। দেশ পরিচালনায় সর্বস্তরের জনগণের অধিকার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার করতে হবে। এর জন্য ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে অন্যান্য দল, সমাজশক্তি ও শ্রেনী-পেশার জনগণকে যুক্তকরে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ গোফরান, মো. সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামল উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল প্রমুখ।