ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।শনিবার সকাল ৯টায় খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা অঞ্চল হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণীঝড়ের কেন্দ্রের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ঝড়ো হাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফণীর আঘাতে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে নোয়াখালী,ভোলা, বরগুনা ও বাগেরহাটে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কাল নয়টার দিকে রাজবাড়ী জেলা ও আশপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছিল।

সমতল অঞ্চলে উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে মেজাজি ফণীও দুর্বল হতে থাকবে এবং পরিণত হবে স্থল নিম্নচাপে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিকেলের মধ্যে ফণী নিম্নচাপে পরিণত হবে।

তবে দুর্বল হলেও ফণীর কবল থেকে সহজে ছাড় পাবে না পুরো বাংলাদেশ। উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার পথে বৃষ্টি ঝরাতে থাকবে। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা কমে আসবে।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৪৩) জানানো হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে শনিবার সকাল ৬ টায় সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেত বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা,পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।