জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 646 বার
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনকে (২০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২ এর সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থানার পঞ্চনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১২-এর অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
গ্রেফতারকৃত আল-আমিন টাঙ্গাইলের গোপালপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চড়ি এলাকায় র্যাব-১২-এর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গোপালপুর এলাকার বাংলাদেশী এক নাগরিক চাকরির সুবাদে পাকিস্তানে বসবাস করেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি পাকিস্তানের এক মেয়েকে বিয়ে করে সেখানকার নাগরিক হয়ে যান। তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পাঁচ মাস আগে তাদের কন্যা পিতৃভূমি দেখতে তার মাকে সঙ্গে নিয়ে গোপালপুরে চাচার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে ওই কিশোরীর চাচাতো ভাই আল-আমিন তাকে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দেয়।
র্যাব-১২-এর অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এরই মধ্যে ১৬ এপ্রিল রাত সাড় ৯টার দিকে কিশোরীকে একা পেয়ে অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় অপহরণ করে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যায় আল-আমিন। পরদিন ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার মহিষাকান্দি এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থানার পঞ্চনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনকে গ্রেফতার করে র্যাবের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, মাকে নিয়ে ছয় মাসের ভিসায় বাংলাদেশে এসেছিল পাকিস্তানি ওই কিশোরী। এরই মধ্যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে কিশোরীর। পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী।
Leave a Reply