দখলকৃত গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহারের তোয়াক্কা না করেই গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত এক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড। খবর বিসিসি ও ডেইলি সাবাহ।

খবরে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় সিরীয় ভূখণ্ড গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে এসে ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেন তিনি।

হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা ইহুদি ধর্মাবলম্বী জ্যারেড কুশনারের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।

এর আগে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্র ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গোলান মালভূমির কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত গুরুত্ব রয়েছে। অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার এখনই সময়।

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

এর আগে ২০১৭ সালে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদ শুরু হয়। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত কার্যকরকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মোকাবিলা করতে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব তোলে আরব দেশগুলো। পরিষদের ১৪ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেটো দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি উপেক্ষা করে সাধারণ পরিষদে ১২৮-৯ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।