জাতীয় স্বদেশ, রাজনীতি | তারিখঃ মার্চ ২২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 464 বার
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শুক্রবার সকাল পৌনে এগারোটার দিকে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিল নাইটিঙ্গেল এর দিকে এগিয়ে স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদূর এগিয়ে নয়াপল্টন মসজিদ ঘুরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, নীলফামারী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলমগীর সরকারসহ ঢাকা জেলাধীন কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপি, মৎস্যজীবী ও তাঁতী দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে সোচ্চার কন্ঠে স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করেন।
মিছিল শেষে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অ্যাডভোকেট নিপুন রায় এর সঞ্চালনায় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন। এতে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘দেশে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি আর চলতে দেয়া যায় না। স্বৈরশাসনের কষাঘাতে জনগণের মনে বিষাদঘন অবস্থা বিরাজমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে দস্যুবৃত্তির পন্থায়। তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থতাকে গুরুতর করার যাবতীয় ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সরকার। বেগম জিয়া যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সেই প্রহর গুণছেন প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘৭৫ এর হুবহু বাকশাল পূণ:প্রর্বতনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এক ভয়াবহ অশনি সংকেত। দেশে আরও বিপজ্জনক দু:সময়ের অশুভ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য। গণতন্ত্র হত্যাই আওয়ামী লীগের আদর্শ। ক্ষমতায় এসে এরা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে জনগণকে বারবার ক্রীতদাস বানিয়েছে। বাকশাল সেই ক্রীতদাস বানানোরই ব্যবস্থা।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতন্ত্র যাতে পুনরুজ্জীবিত হতে না পারে সেজন্য এদেশের জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরালে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের কারাগারগুলো এখন শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কয়েদখানাতে পরিণত হয়েছে, যেখানে তিনি তাঁর খেয়াল-খুশী মতো বিরোধী রাজনীতিবিদদেরকে বন্দী রাখতে পারেন। এই নব্য বাকশাল এর বিরদ্ধে এখন সবাইকে সোচ্চার হতে হবে
Leave a Reply