অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 511 বার
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং লোভের জিহ্বা কেটে ফেলা হবে। দুদককে ভয় পায় না এমন লোক হয়তো সমাজে নেই। আজ রোববার রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারাই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সবচেয়ে যোগ্য এবং মেধাবী সন্তান। তাই কমিশনের কর্মকৌশল প্রণয়নে সর্বপ্রথম আপনাদের সাথেই আলোচনা করা হচ্ছে। তাই আমরা আপনাদের কাছ থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন ধারণা, সৃজনশীল আইডিয়া এবং সর্বোপরি কর্মপন্থা গ্রহণ করতে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিনিধি তথা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের এ জাতীয় মতবিনিময় সভা এটাই প্রথম।
শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন , একসময় বলা হতো অর্থই অনর্থের মূল, কিন্তু সবসময় অনর্থের মূল নয়। অনেক সময় অর্থই অর্থের মূল। অর্থ মানেই ক্ষমতা। অনেক সময় মানুষ অর্থের পিছনে ছুটে। এটাতে তারা এখন আরে লজ্জা পায় না, তাই দুর্নীতিবাজদের লজ্জা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা । মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা এবং মূল্যবোধসম্পন্ন উন্নয়নের প্রয়োজন। তিনি বলেন দুদককে ভয় পায় না এমন লোক হয়তো সমাজে নেই। তবে ভয় দিয়ে সবকিছু জয় করা যায় না। এসময় দুর্নীতিবাজদের হুশিয়ারি দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে এবং লোভের জিহ্বা কেটে ফেলা হবে। আপনার বলছেন শাস্তি হয় না, তথ্যটি সঠিক নয় এবারও ৬৩ শতাংশ মামলায় সাজা হয়েছে। আমরা হয়তো কাক্সিক্ষত মাত্রায় দুর্নীতি কমাতে পরিনি। এই ৬৩ শতাংশ সাজা কিন্তু এমনিতে হয়নি। এটি আমাদের সকলের ঐকান্তিক চেষ্টার ফসল । আমি আগেও বলেছি আজও বলছি কোনো একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয় । দুর্নীতি দমনের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। তিনি বলেন, সব দুর্নীতিই দুদকের ম্যান্ডেটভুক্ত নয়। দ-বিধির কতিপয় ধারা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন দুদকের তফসিলভুক্ত। দুর্নীতির উৎস বন্ধেও সরকারের নিকট সুপারিশ করার আইনি দায়িত্ব দুদকের রয়েছে। কমিশন স্বাস্থ্য ,শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রকিষ্ঠানের দুর্নীতি প্রতিরোধ এ জনহয়রানি রোধে বিভিন্ন সুপারিশমালা সরকারের কাছে প্রেরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়, বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলো অনুধাবন করেই তাদের নির্বচনী ইশতেহারে দুর্নীতি দমনের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে বলেন, একদিন বা এক বছরেই দুর্নীতি থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুদক মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মোহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরিচালক (তদন্ত)মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply