জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 509 বার
আশুলিয়ার একটি মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীকে (০৯) নিজ কক্ষে ধর্ষণের পর আত্মগোপনে চলে যায় একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২)। ধর্ষণের পরে তা ভিডিও করে রেখে মামুন সেই শিক্ষার্থীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
বাস্তবতার বাইরে ফেসবুকে ‘এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মামুন’ নামে নিজেকে ঢাকা কলেজের বর্তমান ছাত্র পরিচয় দিয়ে আসছিল ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। গত ২৭ জানুয়ারি আশুলিয়ার দোসাইদস্ত এলাকার তারিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মামুন নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে একই মাদ্রাসার এক শিশুকে ধর্ষণ করে। এর পরই আত্মগোপনে চলে যায় মামুন।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হলে র্যাব-১ ছায়াতদন্ত শুরু করে। বুধবার রাতে ব্রাহ্মমবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর এলাকায় র্যাব-১ এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বলেন, নরসিংদীর বাসীন্দা মামুন বিগত ১৮ বছর ধরে আশুলিয়ার বাইতুল মাহমুদ জামে মসজিদে ইমামতি করতো এবং ২০০৬ সাল থেকে তারিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করে।
মামুনের স্ত্রীও একই মাদ্রাসার শিক্ষক এবং তাদের ৪ সন্তান রয়েছে। ঘটনার কিছুদিন আগে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি যায়।
ঘটনার দিন সকালে মক্তবের পড়া শেষে ভিকটিম শিশুটিকে ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে নিজের কক্ষে নিয়ে যায় মামুন। একপর্যায়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করে রাখে। শিশুটি এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দেয় মামুন।
পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটি তার বাবা-মাকে জানায় এবং তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এ বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আত্মগোপনে চলে যায় ধর্ষক মামুন।
র্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, মামুনের একটি ফেসবুক এ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে সে নিজেকে ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে আসছিল। তার এ্যাকাউন্টে বন্ধুর সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি।
মামুনের নিজ এলাকাতেও অনেক কূকীর্তির ঘটনা রয়েছে। সে নিজে একজন দক্ষ অভিনেতাও বটে। গতকাল গ্রেপ্তার এড়াতে নানা তাল বাহানা শুরু করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।সূত্র-চ্যানেল আই
Leave a Reply