চমৎকার দুটি ওয়েডিং ফটো। কিউট কাপল।

আসুন এবার আমরা এই আলো ঝলমলে যুগলের সাদাকালো জীবনের গল্পটা শুনি!

দুজনেই তারকা ডাক্তার। স্বামী একটা বড় কোচিংয়ের ব্যস্ত পরিচালক। স্ত্রী ইউএসএমএলই পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। আরও আগে থেকেই তাদের পরিচয় থাকলেও বিয়ে ২০১৬ তে। আলো ঝিলমিল পরিবেশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিয়ের প্রোগ্রামে ভালোই খরচ করা হয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনা আনন্দ হিল্লোলের ঘাটতি ছিল না এ আয়োজনে। অথচ বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে যাওয়ার সময়েও তিনি জানতেন তার হবু স্ত্রী একজন চরিত্রহীনা। একাধিক পুরুষের সঙ্গে তার অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক আছে। সেটা এক দুই দিনের না বছরের পর বছরের।

তবু তিনি তার শরীরী সৌন্দর্যকে অস্বীকার করতে পারলেন না। সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়ে গেছে বিয়ে ভাঙলে তারা কী ভাববে সেটা ভেবে বিয়েটা ভেঙেও দিলেন না। স্ত্রীর চরিত্রের চেয়ে, সাংসারিক শান্তির চেয়ে ঠুনকো সামাজিক মান-মর্যাদাকেই গুরুত্ব দিলেন বেশি।

ফলাফল? বিয়ের পরেও চরিত্রহীনা স্ত্রী একাধিক পুরুষের সঙ্গে রাত কাটিয়েছে সমানে। চোখের সামনে দোজখের আগুনে পুড়েছে সংসার। সেই সর্বগ্রাসী আগুনেই আজ আত্মাহুতি দিলেন ডাক্তার আকাশ। অনেক কিছুই বলা যায়। তবু আজ বলতে ইচ্ছে করছে না।

শুধু এটুকুই বলি আল্লাহ তাআলা আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেন। নিজের ভালোমন্দ বেছে নেয়ার ইখতিয়ার দেন ঠিকই। অদ্ভুত ইউটোপিয়ায় ভুগে যদি আমরা সে সুযোগটুকু নষ্ট করে ফেলি বা বাস্তবতাকে অস্বীকার করে দুনিয়াবি মোহে ডুবে থাকি ক্রমশ সে ফল আমাদেরকে ভুগতে হবেই। কিচ্ছু করার থাকবে না তখন।

যে আলোকজ্জ্বল ফটোশুট বিয়ের সময় হয়েছিল, কিউট কাপল হিসেবে এত দিন যে স্তুতিবাক্য তারা শুনেছেন সবার কাছ থেকে; বিদায়টা কি ততোটাই আনন্দের হবে? এতটা জৌলুস নিয়ে কি স্রষ্টার সামনে দাঁড়াতে পারবেন তিনি ?

প্রিয়তমা সেই স্ত্রী কি থাকবেন স্বামীর বিদায় অনুষ্ঠানে? সূত্র-যুগান্তর