সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে শপথ নেবেন মৌলভীবাজার-২ থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান।

এর মধ্যে সুলতান মনসুর গণফোরামের প্রার্থী হলেও নির্বাচিত হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকে। অপরদিকে সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার প্রার্থিতা হাইকোর্ট বাতিল করলে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে সমর্থন দেয় বিএনপি।

রবিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচিত এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দু’জন শপথ নেবো। তবে তাড়াহুড়োর কিছু নাই। এখনও সময় আছে। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিলেই হবে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে সুলতান মনসুর বলেন, আমি অসুস্থ, হাতে ফ্র্যাকচার। ব্যান্ডেজ লাগানো। সুস্থ হতে এখনও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। শপথের তো এখনও বেশ সময় আছে। বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তো সবাই আলাদা আলাদা দল। আমাদের সিদ্ধান্ত ‘অবশ্যই পজেটিভ’ হবে।

ধানের শীষ প্রতীকে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আইনি কোনো সমস্যা হবে কি-না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এটা কোনো সমস্যা হবে না। বিএনপি যদি সংসদে যেত, আর আমি যদি তাদের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিতাম সেক্ষেত্রে সমস্যা হতো। এখন যেহেতু বিএনপি সংসদে যাচ্ছে না। তাই আমার শপথে কোনো সমস্যা হবে না। আমি তো গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।

সুলতান মনসুর বলেন, আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে সংসদে কথা বলার জন্য। তাদের জন্য কাজ করতেই আমাকে সংসদে যেতে হবে।

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে জয় পান ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি।

ইতোপূর্বে ধানের শীষ প্রতীকের কোনো প্রার্থী ওই আসনে কখনও বিজয়ী হতে পারেননি। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার গঠন করেছিল তখনও এ আসনে জামানত হারায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। এবার এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হাড্ডাহাডি লড়াই করে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ ত্যাগী দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।