জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জানুয়ারি ১৮, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 708 বার
ভারতের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় তাবলিগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি নোটিশের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মাদরাসার প্রধান ফটক ‘বাবুজ জাহের’-এর নোটিশ বোর্ডে টানানো নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, ‘প্রিয় ছাত্রবৃন্দ! দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের কাজ করা আমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। তবে তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে সৃষ্ট ফেতনা থেকে দারুল উলুমকে বাঁচানোর জন্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাদরাসার মুহতামিম আবুল কাসেম নুমানি স্বাক্ষরিত নোটিশ আরো বলা হয়, ‘প্রিয় ছাত্রবৃন্দ! দারুল উলুমের চৌহদ্দির ভেতর ও বাইরে তাবলিগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিয়ে কোনো ধরণের মাথা ঘামাবে না। দারুল উলুমের কোনো ব্যক্তি তাবলিগের দুই পক্ষের কারো সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারবে না।’
‘যদি কোনো ছাত্র কিংবা বহিরাগত কেউ দারুল উলুমের চৌহদ্দির ভেতর তাবলিগের চলমান সঙ্কটের ব্যাপারে মাথা ঘামায়, তাহলে অন্য ছাত্ররা এতে নিজেদের না জড়িয়ে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করবে। যদি কোনো ছাত্র মাদরাসার আইন অমান্য করে নিষিদ্ধারোপিত কাজে লিপ্ত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের ভেতরে দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চরম আকর ধারণ করেছে। এই দ্বন্দের জেরে সংঘর্ষেরও ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নির্ধারিত সময়ে টঙ্গীতে এবার বিশ্ব ইজতেমা হতে পারেনি।
দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে আছেন তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা ভারতীয় মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কিছু কাল ধরেই সাদ তাবলীগ জামাতে সংস্কারের কথা বলছেন তিনি। বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়। যার মধ্যে মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকাণ্ড পড়ে বলে মনে করা হয়।
সাদ আরো বলেন, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের মাদ্রাসার ভেতরে নামাজ না পড়ে মসজিদে এসে নামাজ পড়া উচিত। কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ যা বলছেন- তা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী। তাদের বক্তব্য, সাদের কথাবার্তা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশ্বাস ও আকিদার বাইরে।
Leave a Reply