রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের মধ্যে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বুধবারের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা করা হয়েছে। তিন মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৭৫ জন।

তিনি আরও বলেন, নয়াপল্টনের বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হামলাকারী ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের হামলা ও ভাংচুরের শুরুতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি নবী উল্লাহ নবী। বুধবার মির্জা আব্বাস কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়ার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। বিনা উসকানিতে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দুই পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। তা না হলে কীভাবে বিএনপি সমর্থকদের হাতে শত শত লাঠি থাকবে? কেন শত শত নেতাকর্মী হেলমেট পরে সেখানে যাবে? পুলিশের উসকানিতে হামলা হয়েছে- এমন কোনো আলামত ও ফুটেজ কেউ দেখাতে পারবে না বলে দাবি তাদের।

তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা করেছে। নির্বাচনী পরিবেশকে অশান্ত করতেই এ ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি তাদের।