জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 478 বার
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই (ইন্না … রাজিউন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে নিজের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
চার দশক বাংলাদেশের তরুণদের গিটারের মূর্ছনায় মাতিয়ে রাখা রকস্টারের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। গিটার বাদনে তার খ্যাতি ছিল পুরো ভারতীয় উপমহাদেশেই।
সকালে তার মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। ভক্ত শ্রোতাদের পাশাপাশি সংগীত শিল্পীদের অনেকেই ছুটে আসেন হাসপাতালে।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসের পরিচালক মির্জা নাজিমউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “সকালে উনার হার্ট অ্যাটাক হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তার ড্রাইভার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার আগেই তার মৃত্যু হয়।”
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী। এলআরবি ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল বাচ্চু বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন। এর আগে তিনি দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন। প্রায় তিন যুগের সংগীতজীবনে আইয়ুব বাচ্চু গানের পাশাপাশি তাঁর গিটারের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। যেকোনো স্টেজ শোতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই গায়ক ও সংগীত পরিচালকের গিটারের মূর্ছনা উদ্দীপ্ত করেনি, এমন গানপাগল খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
গত ১৬ অগাস্ট নিজের জন্মদিনে আইয়ুব বাচ্চু গ্লিটজকে বলেছিলেন, চার দশকের সংগীত জীবনে তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি শ্রোতাদের উচ্ছ্বাস, মানুষের ভালোবাসা। বলেছিলেন একটি আত্মজীবনী লেখার পরিকল্পনার কথা।
“ঈদের পরে কাজটা শুরু করব। ঢাকা ছেড়ে কোথাও চলে যাব যেখানে কোনো ফোন থাকবে না, ইন্টারনেট থাকবে না। নদীর মাছ খাব, ভাত খাব, পানি খাব-এমন জায়গায় চলে যাবো। লেখার কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরব।”
নানা উত্থান, পতন পেরিয়ে জীবনের এই পর্যায়ে এসে জীবন নিয়ে এই শিল্পীর উপলব্ধি জানতে চেয়েছিল গ্লিটজ।
বাচ্চু সেদিন বলেছিলেন, বহুদূর যেতে হবে। এখনো পথের অনেকটা বাকি।
জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু বেশির ভাগ সময়ই নিজের সুর ও সংগীতে গান করেছেন। তবে অন্যের সুর-সংগীতেও তিনি গান করেছেন।
তিনি গেয়েছিলেন –
এই রূপালী গীটার ফেলে
একদিন চলে যাবো দূরে বহুদূরে
সেদিন থেকে অশ্রু তুমি রেখো
গোপন করে…
Leave a Reply