ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বঙ্গভবনে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কুটনীতিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে রাষ্ট্রপতি ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আজ বুধবার বঙ্গভবনে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, “মানবতাই ধর্মের মূল বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথ দেখায়। মানবসেবার দিকনির্দেশনা দেয়। তাই সকল অশুভ ও অকল্যাণকে পরিহার করে মানব কল্যাণে আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।”

আজ বুধবার বঙ্গভবনে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, “মানবতাই ধর্মের মূল বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায়-নীতি ও কল্যাণের পথ দেখায়। মানবসেবার দিকনির্দেশনা দেয়। তাই সকল অশুভ ও অকল্যাণকে পরিহার করে মানব কল্যাণে আমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে।”

কোরবানির মর্ম উপলব্ধি করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, কোরবানি মানুষকে ত্যাগের পাশাপাশি ধৈর্য্য ধারণের শিক্ষা দেয়। ব্যক্তি, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ত্যাগ ও ধৈর্য্যের গুরুত্ব অপরিসীম।

“পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও পরমতসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে একটি সমতাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। আসুন, কোরবানীর শিক্ষা কাজে লাগিয়ে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি। সাম্য আর মৈত্রীর বন্ধন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক-এ প্রত্যাশা করি।”

ঈদ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা এইচটি ইমাম উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, যুক্তরাষ্ট্রে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা এসে ছিলেন বঙ্গভবনের এ অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সংসদ সদস্য, উচ্চ আদালতের বিচারক, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।

বঙ্গভবনের দরবার হলে গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, লুচি, পরোটা, পোলাও, দই বড়া, সেমাইসহ কয়েক পদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিদের।