রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করার দায়ভার ঢাকার বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। সিঙ্গাপুরে এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান। খবর রয়টার্সের।
বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমার ও বাংলাদেশ গেলো বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের এক চুক্তিতে সই করে। সুচি এ সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে জায়গা ঠিক করা হয়েছে।
তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন কবে শুরু হবে এ সংক্রান্ত সময়সীমা ঠিক করা কঠিন বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন, প্রক্রিয়াটি চালু হওয়ার জন্য দুই দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে। তবে প্রক্রিয়াটি শুরু করার দায়ভার ঢাকার।
এনডিটিভি জানায়, আইএসএএস- ইউসফ ইশক ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘মিয়ানমার্স ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গেছেন অং সান সু চি।

অনুষ্ঠানে সূ চি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কাজটা বাংলাদেশের। আমরা কেবল তাদের স্বাগত জানাতে পারি।… আমার মনে হয় বাংলাদেশ কত দ্রুত প্রত্যাবাসন শেষ করতে চায় সে সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা দেশে ফিরলে তাদের কোথায় রাখা হবে সে জায়গাও ঠিক করা হয়েছে। তবে প্রত্যাবাসন শুরুর দিন তারিখ ঠিক করা মিয়ানমারের জন্য কঠিন, কারণ কাজটি করতে হবে বাংলাদেশের।

গত বছরের ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংস ঘটনার পর রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে। উখিয়ার টেকনাফের ১১টি স্থানে ৩০টি শিবিরে তারা রয়েছে।