নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) নেতা জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছে। ভারতের খাগড়াগড় হামলার আসামি ছিল সে। তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে ভারত সরকার।বোমারু মিজানকে আটক করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। দুদিন আগে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এনআইএ জানায়, ৩ আগস্ট কেরালার মালাপুরাম জেলার একটি শ্রম শিবির থেকে আবদুল করিম ও মুস্তাফিজুর রহমান নামে জেএমবির দুই কর্মীকে আটক করে এনআইএ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু থেকে আটক করা হয় বোমারু মিজান ওরফে কায়সার ওরফে মুন্না ওরফে বাদাভাইকে।

এই তিন জনই চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিহারে বুদ্ধ গয়ায় মহাবোধি মন্দির এবং পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে এনআইএ।

তারা একে বোমা তৈরিতে একে অপরকে সহযোগিতা করতো বলেও জানিয়েছে এনআইএ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন, হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বোমারু মিজানকে প্রিজন ভ্যানে ময়মনসিংহের একটি আদালতে নেয়া হচ্ছিল। ময়মনসিংহের ত্রিশালে পৌঁছার পর প্রিজন ভ্যানের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি ও বোমা ছুড়ে তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। সে সময় থেকে বোমারু মিজান পলাতক রয়েছে।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ের একটি দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই জঙ্গি নিহত এবং একজন আহত হয়।
গত ৪ঠা আগস্ট আটককৃত জেএমবি নেতা-কর্মীদের কোচিতে এনআইএর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। পরে পাটনার আদালতে তোলা হলে এআইএর অধীনে ১৫ দিনের আটকাদেশ দেন বিচারক।