নোয়াখালীর সেনবাগে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূকে (৩২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বন্ধুসহ চারজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ওয়ার্ড কাজির খিলে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য ছিদ্দিক উল্যাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূর জবানবন্দী রেকর্ড শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বড় ভাই ইউপি সদস্য ছিদ্দিক উল্যা, ওবায়দুল হক, মো: এয়াছিন, আবদুল হক মাষ্টার ও মাসুদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭-৮দিন আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ওই গৃহবধূর সাথে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে রেগে গিয়ে নিজের বাবার বাড়ি জেলার কোম্পানীগঞ্জের চর কাকড়ায় চলে যান তিনি। পরবর্তীতে ঝগড়ার বিষয়টি নিজের স্বামীর বন্ধু দিদারকে মুঠোফোনে জানান ওই নারী। সবকিছু শুনে গত ৫ সেপ্টেম্বর দিদার ফেনী পার্কে তার সাথে দেখা করতে বললে ওইদিন সকালে ফেনীতে যান ওই গৃহবধূ। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রাতে স্বামীর বাড়ি সেনবাগে পৌঁছে দিবে বলে গৃহবধূকে নিয়ে ফেনী থেকে সেনবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিদার। রাত ১০টার দিকে কৌশলে সেনবাগের বীজবাগ ইউনিয়নের কাজীরখিল এলাকার সড়কের পাশের একটি নির্জন স্থানে ওই গৃহবধূকে নিয়ে গিয়ে দিদারসহ চারজন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

গৃহবধূর অভিযোগ, পরদিন সকালে এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ছিদ্দিক উল্যাহকে জানালে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে খারাপ মহিলা আখ্যা দিয়ে মারধর করে পুনঃরায় তার বাবার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে পাঠিয়ে দেয় ছিদ্দিক উল্যাহ। ঘটনার কোনো বিচার না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ সেনবাগ থানায় হাজির হয়ে দিদারসহ ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, মামলার পর রাতেই বীজবাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।