জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ৩০, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 761 বার
আজ পবিত্র আশুরা।মহররমের ১০ তারিখ । আশুরা ইসলামের ইতিহাসে এক অসামান্য তাৎপর্যে উজ্জ্বল। মুসলিম উম্মাহর জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন। দিনটি মুসলমানদের কাছে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠারও দিন।
৬১ হিজরি সালের এই দিনে মুসলমানদের প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহিদ হন। পবিত্র আশুরার দিন মুসলিম জাহানের জন্য এ কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, হূদয়বিদারক ও স্মরণীয়। কারবালার মর্মন্তুদ সকরুণ শোকগাথা এই দিবসকে গভীর কালো রেখায় উত্কীর্ণ করে রেখেছে।
ইমাম হোসাইন (রা.) ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন, সত্যের পতাকা সমুন্নত রাখার জন্য তিনি সপরিবারে জীবন দিয়ে শাহাদত বরণ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এই আশুরা ইসলামের ইতিহাসে বিশাল জায়গা দখল করে আছে। মহান আল্লাহ তায়ালা এ দিনেই আরশ, কুরসি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং এ দিনেই আদম (আ.)কে সৃষ্টি করে তাকে বেহেশতে স্থান দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে শয়তানের প্ররোচনায় ভুলের কারণে এ দিনেই তাকে দুনিয়ায় পাঠিয়ে আল্লাহ প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। হজরত নুহ (আ.) সাড়ে নয় শ বছর ধরে তাওহিদের বাণী প্রচারের পর যখন সেই যুগের মানুষ আল্লাহর বিধিনিষেধ পালনে অস্বীকৃতি জানায়, তখন নেমে আসে আল্লাহর গজব।
ফলে হজরত নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছে। শুধু রক্ষা পেয়েছেন তাওহিদে বিশ্বাসী নুহ (আ.)-এর অনুসারীরা। পবিত্র আশুরার দিনে মহাপ্লাবনের সময় হজরত নুহ (আ.)-এর নৌকা তার অনুসারীদের নিয়ে জুদি পাহাড়ের পাদদেশে এসে থেমেছিল। আজও তার কিছু নিদর্শন সেখানে পাওয়া যায়। পবিত্র আশুরার দিনেই হজরত ইবরাহিম (আ.) শত বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে উদ্ধার লাভ করেন এবং নিজের প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)কে আল্লাহর নামে জবেহ করতে উদ্যত হলে খলিলুল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছিলেন পবিত্র আশুরার দিনে।
এই দিনেই হজরত আইউব (আ.) কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, হজরত ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কাফেরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হলে আল্লাহ তাকে চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেন। এই দিনেই হজরত দাউদ (আ.) আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করেছিলেন, হজরত সোলেমান (আ.) তার হারানো রাজত্ব পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছিলেন, হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন, হজরত ইয়াকুব (আ.) তার হারানো পুত্র হজরত ইউসুফ (আঃ)কে ৪০ বছর পর ফিরে পেয়েছিলেন।
Leave a Reply