জেলা সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ২৪, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 701 বার
জাপান সরকারের সহায়তায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ছোট-বড় একুশটি সেতু নির্মাণ ও পুন:নির্মাণ করা হবে। প্রায় সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণের লক্ষ্যে আজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
আজ বৃহষ্পতিবার সকালে বনানীস্থ প্রকল্প অফিসে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
চুক্তিপত্রে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষাল স্বাক্ষর করেন। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রী দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দু’দেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল রুট-৬ জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এছাড়া জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ২য় কাঁচপুর, ২য় মেঘনা ও ২য় গোমতী সেতুর। চট্টগ্রাম থেকে দেশের পর্যটন তীর্থ কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করণে জাপানের অর্থায়ন ইতোমধ্যে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে বলে মন্ত্রী এসময় জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে করোনায় আক্রান্ত জনবলের চিকিৎসায় দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের নির্মিত ভায়াডাক্টের উপর রেললাইন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
উল্লেখ্য, জাপানের অর্থায়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের তেইশটি জেলায় ছোট ও মাঝারি একষট্টিটি সেতু নির্মাণে ইতোপূর্বে গ্রহণ করা হয় ওয়েস্টার্ণ বাংলাদেশ ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের পঁচিশটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং পয়ত্রিশটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হতে চলেছে। নতুন করে একুশটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগের ফলে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে অর্থ সাশ্রয় হবে এবং ভ্রমণ সময় কমে আসবে।
চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্য মাঝে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেনসহ প্রকল্প কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply