রাজনীতি | তারিখঃ জুলাই ২, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 634 বার
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী গতকাল রাতে গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, মাওলানা আনাস মাদানী কর্তৃক একটি ফোনালাপে আমার বিরুদ্ধে ‘জামায়াত সংশ্লিষ্টতা ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আমি মানুষকে নিয়ে মার খাইয়েছি’ বলে যে কথা বলেছে, তা সম্পূর্ণ নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জামায়াতের সাথে আমার বিন্দুমাত্রও সম্পর্ক নেই। অতীত-বর্তমানে কোনো সময়ই জামায়াতের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল না; বরং পুরো জীবন আমার লেখালেখিতে ও লাখ লাখ মানুষের বিশাল সমাবেশে বয়ান-বক্তৃতার মধ্যে জামায়াতের ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে আমি দেশবাসীকে সচেতন করে আসছি।
জামায়াত সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আমার সম্পর্কে সে যা বলেছে, সেটা তার পরিকল্পিত মিথ্যাচার। তার এহেন মিথ্যাচার আমাকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে আমি মনে করি। এগুলো আমার মানহানি করার অপচেষ্টা।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, কিছুদিন থেকে আমি লক্ষ করছি যে, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি কুচক্রীমহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং সাজানো কথা রটিয়ে উসকানিমূলকভাবে সরকার এবং প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এসবের নিন্দা ও ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার নেই।
মাওলানা আনাস মাদানী তার ফোনালাপে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের মর্মান্তিক ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার আমার ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। সে শাপলা চত্বরের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে আমাকে জড়িয়ে এমন ডাহা মিথ্যা কথা বলতে পারবে, তা আমি আশা করিনি। অথচ জেলে গেলাম আমি। রক্ত দিলাম আমি। রিমান্ডে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করলাম আমি। সে রাতে হেফাজতের সমাবেশে কী হয়েছিল, তা জাতি জানে; কিন্তু মামলার আসামি হয়েছিলাম আমি। বিজ্ঞপ্তি।
জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন, আমিরে হেফাজতের আনুগত্য করে, লাখ লাখ নবীপ্রেমিক জনতাকে বিপদের মুখে ঠেলে না দিয়ে আমার জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঝুঁকি নিয়ে শাপলার মঞ্চে অটল থাকাই কি আমার অপরাধ?
আমি আমিরে হেফাজতের নির্দেশ মতে লালবাগ থেকে শাপলা চত্বরে গিয়েছি এবং আমিরে হেফাজতের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত শাপলা চত্বরে অবস্থান করেছি। বারবার মিডিয়াকে বলা হয়েছে যে, সেদিন যা হয়েছে, আমিরে হেফাজতের নির্দেশেই হয়েছে। সুতরাং এত দিন পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর নামান্তর।
সচেতন মহল ভালো করেই জানেন যে, শাপলা চত্বরে আমি মানুষকে মার খাওয়াইনি; বরং সেই রাতে মুহুর্মুহু গুলিবৃষ্টির মধ্যেও আমি নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছি।
আর ২০১৩ সালে কারা জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে সুবিধা ভোগ করেছে আর আজ সরকারের সাথে আঁতাত করে কওমিদের নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে হেফাজতকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে, তা জাতি ভালো করেই জানেন। সময়মতো তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে, ইনশা আল্লাহ।
তিনি বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে নির্জলা মিথ্যাচার করে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে ও ষড়যন্ত্র করে হেফাজতকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে, তাদের বিচার আমি আল্লাহ তায়ালার দরবারে দিলাম।
Leave a Reply