অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুন ৮, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 399 বার
মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত চক্রের নয় হোতাসহ ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার দিবাগত রাতে এলিট ফোর্স র্যাব-২ এবং র্যাব-৮ এর সদস্যরা রাজধানী ও ফরিদপুরের ভাঙায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকরা হলেন- নাজমুল জমাদ্দার (১৯), হাসান মীর (১৮), ইব্রাহিম মীর (১৮), তৌহিদ হাওলাদার (২৩), মোহন শিকদার (৩০), পারভেজ মীর (১৮), সোহেল মোল্যা (২৬), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), সৈয়দ হাওলাদার (২০), রাকিব হোসেন (২৪), মোহাম্মদ আলী মিয়া (২৬), পলাশ তালুকদার (৩৪) ও ইমন (২৫)।
এছাড়াও তাদের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬২ টাকা, ৩১টি মোবাইল ফোন, ২টি ল্যাপটপ, ২টি ট্যাব, ১২০টি সিম, ১টি রাউটার এবং ১টি টিভি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর কাওরানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মূখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম জানান, আটকরা জালিয়াতির মাধ্যমে গত দুই মাসে এক কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি জানান, করোনাকালে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বেড়ে গেছে। এ সুযোগে এজেন্ট বা ব্যাংক ম্যানেজারের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এক কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ জালিয়াত চক্র।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি একটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে মামলা করার পর ঘটনাটি নিয়ে মাঠে নামে এলিট ফোর্স র্যাব । অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে করোনাকালে ঘরবন্দি মানুষ বেশি প্রতারিত হচ্ছেন। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতারকরা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনদের মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। একজন মাস্টার মাইন্ড পুরো টিমটি নিয়ন্ত্রণ করেন বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম বলেন, হান্টার টিম প্রথমে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জোগাড় করে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে কোনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হেল্পলাইন নম্বর ক্লোন করা হয়। এমনকি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনদের নম্বরও ক্লোন করেন তারা।
তিনি জানান, এজন্য নম্বর প্রতি এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পরে কাস্টমার কেয়ার খুলে (১০ জনের টিম) বসে গ্রাহকদের ফোন দেয়। এর আগে গ্রাহকের মোবাইলে পিন বা কোড নম্বর পাঠিয়ে বলা হয়, দ্রুত কোড দেন, না হলে আপনার মোবাইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। যিনি কোডটি পাঠান, তিনিই ‘ফাঁদে’ পড়েন। প্রতারকরা ব্যাংক ম্যানেজার বা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের নম্বর ক্লোন করে ফোন দিয়ে এমনভাবে কথা বলেন যে অনেক গ্রাহক তাদের খপ্পরে পড়ে যান। তাদের সঙ্গে ব্যাংকের কেউ জড়িত কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply