রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স কোয়ার্টারের একটি ফ্ল্যাট থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল কাদের চৌধুরীর (৬০) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাতে বেইলি স্কয়ার-১ ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপসচিব আবদুল কাদেরের মৃত্যু স্বাভাবিক, নাকি হত্যাকান্ড এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিশ ও নিহতের পরিবার। গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে তার লাশের পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেমে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে উপসচিবের লাশের পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে পরীক্ষার জন্য তার হার্ট, স্টোমাক ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ফরেনসিক বিভাগ সূত্র জানায়।
নিহত আবদুল কাদের ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
রমনা থানার এসআই ইউনুস মোল্লা জানান, আবদুল কাদের চৌধুরীর ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরো জানান, আবদুল কাদের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ছিলেন। তিনি ওই সরকারি কোয়ার্টারে একাই থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতাজনিত কারণে আবদুল কাদেরের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ পচে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।