অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 909 বার
অনৈতিক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নারীঘটিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এ নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানায়, অনৈতিক ব্যবসায় জড়িত ওই নারীর নাম শামীমা নূর পাপিয়া। দেশ ত্যাগের আগে পাপিয়ার দুই ব্যক্তিগত সহযোগী ও তার স্বামীকে আটক করা হয়। অনৈতিক কাজ করে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একটি হোটেলেই তিন মাসে খরচ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আটককৃত অন্যরা হলেন, স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন, সাব্বির খন্দকার, শেখ তাওবা।
শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে দেশ ত্যাগের সময় অবৈধ অর্থসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের মধ্যে অন্যতম এই শামীমা নূর পাপিয়া।
র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব ১ এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, শামীমা নুর পাপিয়া একজন ব্যবসায়ী। এফডিসি সংলগ্ন কার এক্সচেঞ্জ নামক গাড়ির শোরুম আছে তার। তবে এই ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নারীঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
নরসিংদী এলাকার অসহায় সুন্দরী নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের সহযোগিতায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে তিনি। বছরের অধিকাংশ সময় তিনি রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করেন। সেখান থেকেই অনৈতিক কাজে নারী সরবরাহ করেন।
এই অবৈধ কাজ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে গড়েছেন একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাটসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ।
শাফিউল্লাহ বুলবুল আরও বলেন, গুলশানে অবস্থিত অভিজাত একটি হোটেলে ২১ তলায় তার দুটি রুম ভাড়া নেয়া আছে। সেখানেই তিনি তার কাজে সহযোগী মেয়েদের রাখেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার কাছ থেকে পাওয়া রশিদ অনুযায়ী, গত তিন মাসে অভিজাত একটি হোটেলে বার খরচ ও রুম ভাড়া হিসেবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি।
দুপুরে জাল টাকা সরবরাহ করে বিদেশ পাড়ি দেয়ার উদ্দেশ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে র্যাব তাদের আটক করে। আটকের সময় তাদের নিকট হতে ৭টি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি নগদ ২ লাখ ১২ হাজার টাকা, জাল ২৫ হাজার টাকা, ভারতীয় রুপি ৩১০, শ্রীলংকান মুদ্রা ৪২০, ১১ হাজার ৯০ ইউএস ডলার উদ্ধার করা হয়।
এ সময় শামীমা নুর পাপিয়ার দুই ব্যক্তিগত সহযোগী ও তার স্বামীকেও আটক করা হয়।
আটককৃত অন্যরা হলেন, স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন, সাব্বির খন্দকার, শেখ তাওবা। তারা তার ব্যক্তিগত বিষয় দেখাশোনা ও সম্পত্তি হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করতেন।
Leave a Reply