জেলা সংবাদ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 894 বার
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ‘যুবলীগ কর্মী’ হাসান মারা গেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
আজ সোমবার সন্ধায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার নর্দান হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হাসান শরীফপুর ইউনিয়নের উত্তর শরীফপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীফপুর গ্রামের জয়নাল আমিনের বাড়ি এলাকায় সম্রাট ও সুমন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সুমন প্রকাশ খালাসি সুমনের লোকজন সম্রাটের অনুসারী হাসানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকার নদার্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নিহতের মামা এমাম হোসেন জানান, সন্ত্রাসী সুমন ও তার লোকজন হাসানের পুরো শরীরের কুপিয়ে ২০-২৫টি জখম করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল। সোমবার ঢাকাতে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক ও বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান নূর হোসেন মাসুদ জানান, সম্রাট ও সুমন উভয় সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের সাথে যুবলীগের কোন সম্পর্ক নেই। নিহত হাসান যুবলীগের কোন সদস্য নয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ চৌধুরী জানান, ঘটনায় নিহত হাসানের মা ধনী বেগম বাদী হয়ে খালাসি সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। নিহত হাসানের বিরুদ্ধেও থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
Leave a Reply