জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 311 বার
রাজধানীর পল্টনে গতকাল বিএনপির সমাবেশে সরকারকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের উক্তিকে আপত্তিকর ও রাস্তার ভাষা বলে মন্তব্য করেছন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ‘ড. কামাল সীমা ছাড়িয়ে গেছেন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মান ও পুরনো তিনটি সেতুর পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন বিএনপির সমাবেশে সরকারকে ‘লাথি মেরে উচ্ছেদ করবে’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না, এটা রাস্তার ভাষা। তার মতো ব্যক্তি কী করে এমন রাস্তার ভাষায় কথা বলেন? ড. কামাল সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি আন্দোলনের নামে আবারো দেশে জ্বালাও পোড়াও করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনী উপযুক্ত জবাব দিবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এটা কোন রাজনৈতিক মামলা না। তার এই মামলা সরকার করেনি। তার মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলা। তাকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার সুযোগ নেই। এটা কারামুক্ত করা আদালতের ব্যাপার। আর এই মামলা বিলম্বের জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, তারা সময়মতো আদালতে হাজিরা দিলে এই মামলা অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতো।
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় তিনটি সেতু জাপানের সহায়তায় আধুনিক ও যুগোপযোগী করে চার লেনে নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানি কোম্পানি জাইকা আজ এই সেতু তিনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করলো।
সেতু তিনটির কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে সম্পন্ন করায় এক হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয় কম হওয়ায় জাপান সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। এই তিনটি সেতু দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে দেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সকল প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের জন্য শিক্ষণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
চারলেন বিশিষ্ট এই সেতু তিনটি দেশের সর্ববৃহৎ মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব এবং সব ধরণের পণ্য পরিবহন সহজ হবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Leave a Reply