অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জানুয়ারি ২৮, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 330 বার
রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের উত্তরাধিকারীদের দাপটে প্রশাসন অসহায়। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে তাদের এ দাপট বিস্তৃত। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় কোনো কিছুই তাদের অধরা নয়। ব্যক্তিগত চাকচিক্য তো আছেই, অঢেল অর্থের জোরে তারা প্রশাসনকে কিনে নিচ্ছেন। অর্থের বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পদ-পদবি আগেই ভাগিয়ে নিয়েছেন তারা। প্রশাসনের কর্মকর্তারাও অবাক হয়ে যাচ্ছেন তাদের টাকার উৎস দেখে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে এসব নিয়ে সরব আলোচনা। সবাই বলছে, এই অর্থের উৎস কোথায়?
সূত্রগুলো বলছে, রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের পোষ্যরা যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন তা স্বাভাবিক আয়ের টাকা নয়। কারণ যেসব ব্যবসায়-বাণিজ্য বা ঠিকাদারি তারা করেন, সেখান থেকে এই পরিমাণ আয় আসার কথা নয়। দুটি উৎস থেকে এ টাকা আসতে পারে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। এর একটি হচ্ছে বৈদেশিক উৎস আর অন্যটি মাদক ব্যবসায়। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে জানলেও রহস্যজনক কারণে তারা চুপ থাকে।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, রাজাকার ও শান্তি কমিটির পোষ্যরা নিজেদের আড়াল করতে ক্ষমতাসীন দলে আশ্রয় নেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা দলের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকেন। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে—সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে এসব ষড়যন্ত্র চলছে বলে সরকারি দলের অনেক নেতা বলছেন।
ওয়াকিবহালদের মতে, বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কয়েকটি দেশের অপতত্পরতা চালানো অস্বাভাবিক নয়। অতীতেও এমন নজির দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ঐসব দেশের এজেন্টরা ভর করেছে রাজাকারদের পোষ্যের ওপর। এসব অর্থ দিয়ে রাজাকারের পোষ্যরা মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে প্রশাসনের উঁচু পর্যায় পর্যন্ত তাদের দাপট বিস্তার করে রেখেছেন। শুধু অর্থই নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশাসনের এসব কর্মকর্তাদের বিলাসবহুল গাড়ি ও ফ্ল্যাট উপহার দিচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ঐ কর্মকর্তারা পর্যন্ত তাদের টাকার উৎস নিয়ে অবাক হয়ে যান। অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলো তাদের পক্ষে নিয়ে আসতে একটু বেগ পেতে হয় না।
এদিকে, শুধু বৈদেশিক উৎস নয়, রাজাকারের পোষ্যরা অনেকেই স্থানীয়ভাবে মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের সহায়তায় তারা এ কাজটি দীর্ঘদিন চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের পদ-পদবি থাকায় মাদক ব্যবসায়ে তারা ঝামেলাহীনভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজাকার পোষ্যদের অর্থের উৎস সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। বিশেষ করে, তাদের জীবনযাপন এবং নানা কাজে ব্যয়িত অর্থের উৎস জানা গেলে সরকারের বিপক্ষে চালিত ষড়যন্ত্রগুলো বেরিয়ে আসবে।উৎস ইত্তেফাক
Leave a Reply