জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জানুয়ারি ১৬, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 328 বার
৩০ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে আদালতে ১ হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে সংস্থাটি।
অভিযোগপত্রে হত্যাকাণ্ডের নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে মারুফ রেজার সম্পৃক্তরা পেয়েছেন দাবী করে সকলের মৃত্যুদন্ড চেয়েছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো: রফিক এ চার্জশিট জমা দেন।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করেন পিবিআই। এসময় সংস্থার প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনার ৩০ বছর পর আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তিন ধাপে মোট ছয় মাস নিরলসভাবে কাজ করে পিবিআই। এ হত্যাকাণ্ডটি সুপরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে চারজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় অভিযোগপত্র প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, মামলটি যখন পিবিআইয়ের কাছে আসার পর তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি নিহত সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ রয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহীন তার তিন তলার বাসা থেকে সগিরা মোর্শেদের রান্নাঘর ও বারান্দায় ময়লা ফেলত। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক পছন্দ করত এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যেও দ্বন্দ্ব ছিল।
বনজ কুমার বলেন, সগিরার কাজের মেয়ে জাহানুরকে মারধর করে ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। আসামিদের নিয়ে রাজারবাগ বাসার তৃতীয় তলায় সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ প্রকাশ্য দিবালোকে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ৩০ বছর ধরে এ ঘটনায় ২৫ জন কর্মকর্তা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। মামলা চলাকালে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি কেউ। একবার তাদের মধ্যে একজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছিল।
Leave a Reply