সিঙ্গাপুরপ্রবাসী মামা বিয়ে করে বউ রেখে যান বাড়িতে। সেই সুবাদে ভাগ্নে তার মামির সঙ্গে ভাব জমান। দুজনের মন দেওয়া-নেওয়া থেকে শুরু হয় পরকীয়া। একপর্যায়ে মামির সঙ্গে পরকীয়ায় ধরা পড়েন ভাগ্নে। এ জন্য তাকে নাকে খত দিয়ে ও জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘুরানো হয় পুরো গ্রামে। এতে ভাগ্নের মনে জেদ চাপে। শেষ পর্যন্ত মামিকেই বিয়ে করে ঘরে আনেন।

ঘটনাটি ঢাকার ধামরাইয়ের। ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মামুরা গ্রামের জুদু মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আজহারুল ইসলাম বছর দুই আগে কাইজারকুন্ড গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ে করেন।

স্থানীয়রা জানান, বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীকে রেখে সিঙ্গাপুর চলে যান আজহারুল। ওই সময় ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাসাই কারাবিল গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নে হারুন অর রশিদ (২০) প্রায়ই যাতায়াত করতেন ওই বাড়িতে। একপর্যায়ে মামি ও ভাগ্নের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কৌশলে ভাগিনা মামার বাড়িতে থেকেই মামির সঙ্গে সাভার কলেজে লেখাপড়া শুরু করেন। শুধু তাই নয়, একই ঘরের ভেতরে মামি ও ভাগ্নে থাকা শুরু করেন। একদিন স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় তাদের ধরে ফেলেন এবং দুজনকেই মারধর করে নাকে খত ও জুতার মালা পড়িয়ে দেন।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ওই মামি ও ভাগ্নেকে থানায় নিয়ে আসে। পরে দুজনের সম্মতিতে বুধবার আদালতে তাদের বিয়ে হয়।