জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 374 বার
বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। মিছিলের প্রথম দফায় পুলিশ নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে হাইকোর্টের কাছে কদম ফোয়ারা ও মৎস্য ভবনের মোড়ে দুই দফায় এই ঘটনা ঘটে।
আটটি বাম দলের এই জোট আজ ‘গণতন্ত্রের কালো দিবস’ পালন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সরকার যেন তেনভাবে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না জনগণ এটা আর বরদাশত করবে না। তিনি বলেন, জনগণ ম্যাজিক নির্বাচন দেখতে চায় না, তাই তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ আলম, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক বক্তব্য রাখেন।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করছে জোট। তাদের কর্মসূচির মধ্যে আরও ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা।
প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয় দুপুর ১২ টার দিকে। সমাবেশ শেষে পৌনে একটার দিকে কয়েক শ মানুষের মিছিলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। তবে হাইকোর্টের কাছে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের প্রথম বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি সামনের দিকে এগোতে থাকে। ওই সময় পুলিশ জোটের মিছিলে লাঠিপেটা করে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনের দিকে এগোলে বেলা একটার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে দ্বিতীয় ব্যারিকেডের সামনে পড়ে। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি ও ব্যারিকেডের সংখ্যা বেশি ছিল। পুলিশের শক্ত বাধার মুখেও জোটের নেতা-কর্মীরা এগোনোর চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পুলিশের দিকে মিছিল থেকে প্ল্যাকার্ড ছুড়ে মারা হয়।
একপর্যায়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা মিছিলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা চলে যান। আমি এখন অ্যারেস্ট করব। কাউকে দেখব না।
পুলিশের লাঠিপেটায় আহতের মধ্যে রয়েছেন জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের (মার্কসবাদী) ফখরুদ্দিন কবির আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের মনিরউদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদীন, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি জিএম জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহসভাপতি সাদেকুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স। পুলিশের হামলায় কর্তব্যরত সাংবাদিকেরাও আহত হন। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে কর্মীরা শান্ত হন এবং কাওরান বাজার তিতাস মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
Leave a Reply