বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)র একটি প্রতিনিধি দল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানা থেকে স্থানীয় খাল নদী জলাশয় দূষণের চিত্র সরজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় তারা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে তারা জানতে পারেন বিভিন্ন কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য স্থানীয় খাল, নদী ও জলাশয় ফেলা চলমান আছে। ফলে হবিগঞ্জের এই এলাকায় শিল্প বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ অব্যাহত আছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এর নেতৃত্বে মাধবপুর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানা এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বাপা হবিগঞ্জে সাধারণ সম্পাদক খোয়াই রিভার ওয়াটার কিপার তোফাজ্জল সোহেল, অধ্যাপক নাসরিন হক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম মনু, ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল দেখতে পান, মার লিমিটেড, সায়হাম কম্পোজিট নীট লিমিটেডসহ অন্যান্য ফ্যাক্টরির অপরিশোধিত বর্জ্য পার্শ্ববর্তী খালে ফেলা ফেলছে। এই খালসমূহ অন্যান্য নদী ও জলাশয় হয় মেঘনা নদী পর্যন্ত দূষণ ছড়াচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে চলা এই শিল্প বর্জ্য দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। এই দূষণ অব্যাহত থাকার কারণে এখানকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, আমার ইতিপূর্বে অনেকবার এই এলাকা পরিদর্শন করেছি। আজও আবার পরিদর্শন করলাম। কিন্তু এই এলাকার শিল্প বর্জ্যে দূষণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরিবেশ ও দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই এই সমস্ত শিল্প কারখানা প্রশাসনসহ সবার নাকের ডগার উপর দিয়ে পরিবেশ দূষণ করে আসছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) দীর্ঘদিন থেকে এই অঞ্চলের শিল্প দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরগুলোকে। এই এলাকার শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর এবং সক্ষমতা সম্পন্ন দূষণ বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। এতে সাধারণ মানুষ ও সামাজিক আন্দোলনসমূহের নেতৃবৃন্দকে যুক্ত করা আবশ্যক।

প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা এই চলমান শিল্প বর্জ্য দূষণের প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে যেকোনো শিল্পদূষণের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসন ও অন্যান্য দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের আরও নির্মোহ ও সততার সাথে দূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাই।উৎস -সিলেট টুডে ২৪