অপরাধ সংবাদ, কৃষি কথা, জাতীয় স্বদেশ, জেলা সংবাদ | তারিখঃ জুন ৭, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 888 বার
বাগেরহাট জেলার শরণখোলার রাজৈর এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ ও ইউপি সদস্য আ. রহিম হাওলাদার দুবাই প্রবাসী একটি পরিবারকে মারধর করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত পাঁচদিন ধরে ওই পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।এছাড়াও তারা যাতে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন, সেজন্য তাদের মোবাইল ফোনও ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরবর্তী হামলার আশঙ্কায় দুটি শিশু সন্তান নিয়ে পরিবারটি বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
অবরুদ্ধ হয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকা পরিবারটি জানিয়েছে, গত ৩ জুন শরণখোলা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ ও ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রহিম উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর এলাকার দুবাই প্রবাসী মো. খলিলুর রহমান তালুকদারের বাড়িতে হামলা চালায়। খলিলের বাড়ির মধ্যে তাদের জমি আছে দাবি করে পুরো বাড়িঘর কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলে তারা। ঘটনাটি গৃহকর্তার স্ত্রী ফহিমা বেগম মোবাইল ফোনে তার ভাইকে জানাতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা আসাদ মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। এ সময় গৃহকর্তা খলিলুর রহমানকে মারধর করে ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য শাসিয়ে যান তারা। এরপর থেকে ওই পরিবারটি দুটি শিশু সন্তান নিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবযাপন করছে।
ঘটনা শুনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে আশাপাশের লোকজন এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এ সময় ভীতসন্ত্রস্ত ওই পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন ।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার জানান, ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত থাকলেও তিনি জমি দখল বা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় জড়িত নন।
ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, খলিলের বাড়ির মধ্যে পাওনা জমি কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখলে নেওয়া হয়েছে। আমাদের জমির ওপর দিয়ে তাদের বের হতে দেওয়া হবে না।
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা অমানবিক ও বেআইনী। ঘটনায় জড়িতরা যে দলেরই হোক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. হাসান মীর জানান, আসাদ ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে নেই। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তার কোনো বিষয়ে ছাত্রলীগ দায়িত্ব নেবে না।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, ঘটনা তাকে কেউ জানায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশকে বলা হয়েছে।
Leave a Reply