কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুর কবির (২৮) নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার লেদা ছ্যুরি খাল এলাকার বেড়িবাঁধ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুর কবির টেকনাফের জাদিমুরা ব্রিটিশ পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। বিজিবির দাবি, নিহত ব্যাক্তি ইয়াবা পাচারকারী ছিল।

শুক্রবার সকালে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টেকনাফ উপজেলার লেদা ছ্যুরি খালের সীমান্ত এলাকায় ৩-৪ জন লোককে কেওড়া বাগানের মাটি খুঁড়তে দেখে টহলরহত বিজিবির সদস্য। এসময় টর্চ লাইটের আলোতে দেখতে পায় মাটির ভেতর থেকে একটি কালো পলিথিনের বস্তা বের করছে তারা। এতে বিজিবির সদস্যরা সামনে এগিয়ে গেলে অতর্কিতভাবে বিজিবি’র ওপর গুলি চালায় তারা। এ সময় বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ৮-১০ মিনিট গোলাগুলির পরে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুই বিজিবি সদস্য আহত হন এবং ওই এলাকায় তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজিবি’র এই কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।উদ্ধার হওয়া ইয়াবার মূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকার ওপরে বলে জানিয়েছে বিজিবি। নিহত রোহিঙ্গা ব্যক্তির মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলেছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গাকে বিজিবি সদস্যরা নিয়ে আসেন। তার শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে এবং আহত দুই বিজিবি সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।