অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ নভেম্বর ৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 913 বার
বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তির দাবিতে ফেনীর সোনাগাজীর ওলামা বাজার সড়কে মানববন্ধন করেছে তাদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
তাদের দাবি, নুসরাত জাহান রাফি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন একে হত্যায় রূপান্তরিত করেছে।
রবিবার সকাল ১১টায় ওলামা বাজার সড়কের চরছান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ভৈরব রাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ।
মানববন্ধনে দণ্ডিতদের স্বজনরা দাবি করেন, ৬ এপ্রিল নুসরাত অগ্নিদগ্ধ হয়। কলেজ রোড, জিরো পয়েন্ট, মাদ্রাসা এলাকাসহ পুরো পৌর শহর সোনাগাজী মডেল থানা ও পৌরসভার সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল। ঘটনার পর ১০ এপ্রিল পিবিআই সব সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে যায়। মামলার বিচার চলাকালীন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ তলবের জন্য আবেদন করলেও সেটা পাওয়া যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে পিবিআই নির্দোষ আসামিদের ফাঁসিয়েছে।
মানববন্ধনে তারা নুসরাত হত্যা মামলায় ফেনীর আদালতে দেওয়া রায়ে সঠিক বিচার পাননি অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে সঠিক ও ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে বিপুলসংখ্যক গ্রামবাসী অংশ নেন। তাদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর উপস্থিতি ছিল বেশি। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, সোনাগাজী থানার অদূরে এ মানববন্ধন হয়। আগেই খবর পেয়ে পুলিশ তৎপর ছিল। আইনশৃঙ্খলা জোরদারে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নেয় ও টহল দেয়।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয় ২৪ অক্টোবর। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় ১৬ জনের ফাঁসি হয়।
২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সিরাজসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।
Leave a Reply