মঙ্গলবার ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের কালো দিন। । ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করায় বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) । আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি আইন লঙ্ঘনের অপরাধ সাকিব মেনে নেওয়ার পর এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।

আইসিসি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, শাস্তির ২ বছরের মধ্যে প্রথম এক বছর কোনো ধরণের ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে পারবেন না সাকিব। শাস্তির প্রথম এক বছর আইসিসির কোনো আইন ভঙ্গ না করলে পরের এক বছর তার শাস্তি স্থগিত থাকবে। শাস্তির ২ বছর আইসিসি’র পর্যবেক্ষণে থাকবেন সাকিব। এই সময়ে কোনো আইন ভাঙ্গলে সর্বেোচ্চ শাস্তি অর্থ্যাৎ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে তাকে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে। ফলে আগামী বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে পারবেন না তিনি।

আইসিসি জানিয়েছে, ২০১৮ এর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের মধ্যে তিন বার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। তবে এ বিষয়ে আইসিসিকে কিছু জানাননি তিনি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ চলাকালে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। পরবর্তীতে সে বছরই আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচের আগেও তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন জুয়াড়িরা। আর একবার তার কাছে প্রস্তাব আসে ত্রিদেশীয় সিরিজ অথবা আইপিএলে।

আইসিসির কাছে সকল দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের কোনো সুযোগ থাকছে না সাকিবের।